সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় চারটি মোবাইল অপারেটরের ৬৬০টি সাইট সচল হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারী বৃষ্টির কারণে এই তিন জেলা বন্যাপ্লাবিত হয়েছে। ফলে এই তিন জেলার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। এই জেলাগুলোয় চারটি মোবাইল অপারেটরের মোট ২ হাজার ৫২৮ সাইট রয়েছে। বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অবস্থিত অনেক সাইট (বিটিএস) বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুঠোফোন নেটওয়ার্কে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এই মোবাইল অপারেটরদের প্রচেষ্টায় রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৬০টি সাইট পুনরায় সচল করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে অপারেটরদের মোট ১ হাজার ৭২টি সাইটে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে রয়েছে। তবে এই সাইটগুলো সচলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বন্যার কারণে গত শনিবার সিলেটের নেটওয়ার্ক ডাউন ছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার এই নেটওয়ার্ক সচল করা হয়েছে। তবে ইন্টারকানেকশনে এখনো সমস্যা রয়েছে। এটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জে বিটিআরসির নেটওয়ার্ক ডাউন রয়েছে।
বিটিআরসি–এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে থাকায়, সুনামগঞ্জে পোর্টেবল জেনারেটর নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। তবে রোববার থেকে বন্যার পানি একটু করে কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি কমে গেলে পোর্টেবল জেনারেটর নিয়ে সুনামগঞ্জে বিটিআরসির নেটওয়ার্ক সচল করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যাদুর্গত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে বিটিআরসি একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সেলটি কাজ করছে। মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দেবেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের একজন পরিচালক। এতে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাঁরা বন্যাদুর্গত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক, অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।