সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। ঘটনাটিকে তিনি জঘন্য ও নৃশংস বলে উল্লেখ করেছেন।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ছয়টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানের পর সেনাপ্রধান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ফেসবুক পেজ থেকে এ কথা জানা যায়।
গত ৩১ জুলাই টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কে মেজর (অব.) সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে যে তদন্ত হচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘তদন্ত হচ্ছে, এখন এই ব্যাপারে কিছু বলা যায় না। কারণ যে ঘটনাটা ঘটেছে এটা সবাই জানে। অত্যন্ত জঘন্যতম একটা ঘটনা ঘটেছে এবং সেটার একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। এটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে এবং সাজা হলে সন্তুষ্টির প্রশ্ন আসবে।’
সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এটা একটা অত্যন্ত নৃশংস, জঘন্যতম হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এটার তদন্ত হচ্ছে। আমি সেনাপ্রধান হিসেবে আশা করতে চাই, তদন্তটা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কারও সঙ্গে না ঘটে। আমি সেটা প্রত্যাশা করি।’
ঘটনাটি নিয়ে সেনাবাহিনীর নিজস্ব কোনো তদন্ত হচ্ছে কিনা প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যেকোনো সদস্যের অস্বাভাবিক কোনো জিনিস হয়, সেটার ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই নিজস্ব তদন্ত হয়। তা আমাদের বিভাগের প্রয়োজনে। আমরাও সে ধরনের একটি তদন্তের নির্দেশ সঙ্গে সঙ্গে দিয়েছিলাম। সে তদন্ত হচ্ছে।’
এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কোনো সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে কিনা? জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারকে কোনো সুপারিশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘটনার পর পর সরকারের পক্ষ থেকে এটি যৌথ তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত টিমের প্রতি সেনাবাহিনী এবং আমি নিশ্চিত পুলিশ বাহিনীরও এ ব্যাপারে সমর্থন রয়েছে। এই তদন্ত দল সরকারকে যা উপযুক্ত মনে করবে তা সুপারিশ করবে। এখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সুপারিশের কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না। কারণ এখানে যৌথ টিম গঠন করা হয়েছে এবং সেখানে আমাদের সেনাবাহিনীরও সদস্য আছেন।’
সিনহা হত্যাকাণ্ডকে নৃশংস উল্লেখ করে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, শুধু সেনাবাহিনীর দিক থেকেই ঘৃণা জানানো হয়নি পুলিশ প্রধানও সেদিন এসেছিলেন। তারাও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সবাই মর্মাহত হয়েছেন এ ঘটনায়। এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কেউ যদি অন্য কিছু করার চেষ্টা করে থাকে তা দুঃখজনক এবং সেটা কাঙ্ক্ষিত না।