নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মিথ্যাচার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনের বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কোদাল প্রতীকের গণসংযোগের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নিয়মিত গণসংযোগ করছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের তরুণ প্রার্থী জোনায়েদ সাকি। বৃহস্পতিবার ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মগবাজার, মধুবাগ, পেয়ারাবাগ ও মীরেরবাগ এলাকায় তিনি গণসংযোগ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দেওয়ান আবদুর রশীদ, বাচ্চু ভূঁইয়া, তাসলিমা আখতার, বেলায়েত হোসেন, ইমরাদ জুলকারনাইন, মুসা কলিমুল্লাহ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
গণসংযোগ চলার সময় জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরেক নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যকে মিথ্যা বলার মাধ্যমে তাঁর নিজের দলীয় আনুগত্যই প্রমাণ করেছেন। প্রতিদিন বিরোধী প্রার্থীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি চলছে।
জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল রাতে মগবাজার এলাকায় ফেস্টুন লাগাতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ আমাদের কর্মীদের সরাসরি বাধা দিয়েছে এবং গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে।’ তিনি বলেন, দেশব্যাপী এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত হচ্ছে না। কার্যত নির্বাচনের মাঠ ভীষণভাবে অসমতল, একতরফা। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের যা করণীয় তা না করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যকে অসত্য বলা, নির্বাচন কমিশনের একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার সদিচ্ছাকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
হিরো আলমকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের বক্তব্যের সমালোচনাও করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকেরই আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার আছে। এটি একটি সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকারকে ব্যঙ্গ করে ‘হাইকোর্ট দেখানোর’ কথা বলে তিনি নাগরিক হিসেবে হিরো আলম ও হাইকোর্ট—উভয়কেই অপমানিত করেছেন এবং নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারকে তামাশায় পরিণত করেছেন। এগুলো ক্ষমতার বাহাদুরি ছাড়া আর কিছু নয়।