প্রচারণার শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নৌকার প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ভোটের মাঠে সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও ধানের শীষের প্রার্থীরা সারা দিন বাড়িতেই কাটিয়েছেন। তবে, প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দলগুলোকে সাধ্যমতো প্রচার-প্রচারণা করতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ (ধানের শীষ)।
প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা হলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম (হাতপাখা), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলি হাসান আসকারীর সহধর্মিণী মেরিনা আক্তার (হারিকেন)।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনেও (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের একাংশ) পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্তমান সাংসদ আলী আজগার টগর ও জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। বাকি তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুল লতিফ খান (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান (হাতপাখা) ও গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ লালন আহমেদ (মাছ)।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কবরী রোডে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়। গতকাল সকাল থেকেই সেখানে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আনাগোনা ছিল। নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক এদিনও ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। সকাল থেকে তিনি গণসংযোগ শুরু করেন। বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি এলাকায় পথসভা ও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মিসভায় যোগ দেন। পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নেতৃত্বে বিকেলে শহরে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে বিশাল মিছিল বের হয়।
ঠিক উল্টো চিত্র ছিল বিএনপিতে। চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট রোডে অবস্থিত ধানের শীষের প্রার্থী শরীফুজ্জামানের দোতলা বাড়ির নিচতলা ধানের শীষের প্রধান নির্বাচনী কেন্দ্র। গতকাল এটি বন্ধ থাকতে দেখা যায়। শরীফুজ্জামান বাড়িতে বসেই দলীয় নেতা-কর্মী ও পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। জানতে চাইলে শরীফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিরাপত্তা ও আস্থার কোনো জায়গা নেই। বাধ্য হয়েই ঘরে বসে কাজ সারতে হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আলী আজগার সকালে দর্শনা পৌর এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিকেলে পারকৃষ্ণপুর-মদনা এলাকায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করেন।
এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মী ও পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাঁদের দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সাবেক সাংসদ হাবিবুর রহমানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মাহমুদ হাসান খান বলেন, প্রতিকূল পরিবেশের কারণে বাড়িতে বসেই সব সারতে হচ্ছে।