ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দুই উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯১–এ।
এদিকে সাভারে করোনায় আক্রান্ত আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে উপজেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য গতকাল শনিবার ৮৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। আজ এসব নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের শরীরে করোনা ‘পজিটিভ’ পাওয়া গেছে।
ধামরাই থেকে গত শনিবার ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে একই ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৯ জনের শরীরে করোনা ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়।
সাভার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাভারে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, যাঁদের ছয়জন মারা গেছেন। অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সাভারে বেশি মানুষকে পরীক্ষার আওতায় আনা হলেও এই উপজেলার লোকসংখ্যার তুলনায় তা কম। এখানে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বিপণিবিতান ও শপিং মল খুলে দেওয়ার পর থেকে সাভারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ৯ মে পর্যন্ত সাভারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২। ১০ মে থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়ার পর এখন আরও ২৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই হিসাব অনুযায়ী, বিপণিবিতান ও শপিং মল খোলার পর আক্রান্তের সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে। পরে দোকানপাট বন্ধ করা হলেও দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, যাদের বড় একটা আংশ পোশাকশ্রমিক। উপসর্গবিহীন আক্রান্তরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, আপাতত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় অধর চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপিত বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঈদের পরে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এতে অনেক বেশি মানুষকে পরীক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হবে।