সাবেক ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদ
বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদ

৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ-৫-এ বদলির আদেশ দিয়ে অভিযোগ গঠনের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আজকের দিন (১ সেপ্টেম্বর) ধার্য করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ণ হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরোনো) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেন। ইতিমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এই অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, তার সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর আয়কর নথিতে ঘোষণাও দেননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।

সব মিলিয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকালে বজলুর রশীদ ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মো. বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।