সাদাকালো জীবনের রঙিন ছবি

>

ঢাকার আমিনবাজার সেতুর নিচেই রয়েছে বেশ কয়েকটি কয়লাঘাট। এসব ঘাটে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কয়লাভর্তি কার্গো ভেড়ে। এই কয়লা নদীর পাড়ে নামানোর কাজ করেন এখানকার প্রায় সাত হাজার শ্রমিক। এঁদের বেশির ভাগই এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে। ছোট ঝুড়িতে করে তাঁরা দিনরাত কয়লা নামান। প্রতি ঝুড়ি কয়লা নামানোর বিনিময়ে প্রত্যেক শ্রমিক দুই থেকে পাঁচ টাকা মজুরি পান। কার্গো থেকে কয়লা নামানোর স্থানের মধ্যকার দূরত্বের ওপর মজুরি ওঠা–নামা করে। শ্রমিকদের মুখে নেই কোনো মাস্ক, পায়ে নেই বিশেষ জুতা এবং হাতে নেই গ্লাভস। কার্গো থেকে নদীর পাড়ে যাওয়ার জন্য থাকা কাঠের তক্তাটিও ঝুঁকিপূর্ণ। ছবিগুলো বুধবারের।

বৌদ্ধনাথ ২০ বছর আগে ঢাকা এসেছেন। তাঁর বাড়ি নওগাঁয়।
বৌদ্ধনাথ ২০ বছর আগে ঢাকা এসেছেন। তাঁর বাড়ি নওগাঁয়।
মো. আনোয়ারুলের বাড়ি শরীয়তপুরে। এক মাস আগে কাজের সন্ধানে ঢাকায় এসেছেন।
কাজের সন্ধানে রনি শিকদার টাঙ্গাইল থেকে এসেছেন ঢাকায়।
আজ মে দিবস, জানেন কমল চন্দ্র দাশ। নেত্রকোনার এই বাসিন্দার কথা, ছুটি করলে তো টাকা মিলবে না।
কালো কয়লার ঘাটে পুরুষের পাশাপাশি আছেন রুবি বেগমের মতো নারীরাও।
অনেক পেশা পরিবর্তন করে নদীর পাড়ে কয়লা তোলার কাজে লেগেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের শাহজাহান।
উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় কাজ মেলেনি, তাই ঢাকায় এসেছেন নুরুন্নবী।
মজুরি কম, তার পরও নওগাঁর লিপেনকে বেছে নিতে হয়েছে এই কষ্টকর কাজ।
রাজশাহীর রবিউলের জীবন শুরুই হলো কয়লাটানা দিয়ে।