একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, একজন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখকসহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগঠন ‘মুক্ত আসর’। সংগঠনটির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন বীর প্রতীক মো. আজাদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্ণেল (অব.) মনীষ দেওয়ান, অধ্যাপক ডা. এম এস এ মনসুর আহমেদ, খোরশেদ আলম, আনোয়ার হোসেন খান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিস্টার ক্যাথরিন গনসালভেস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখক সেলিনা হোসেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ড. হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে এক আয়োজনে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ উপচার্য মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘মুক্ত আসরকে কেউ কেউ ক্ষুদ্র সংগঠন বললেও আমি বলব না। ক্ষুদ্র সংগঠনগুলো একদিন বড় সংগঠন হয়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মো. আজাদ আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বল্প অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ ঝাপিয়ে পড়ে। এখন তা অবিশ্বাস্য মনে হয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের দিনগুলি তিনি স্মৃতিচারণ করেন।’
মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্ণেল মনীষ দেওয়ান বলেন, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র থাকাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের অংশ নিই। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উড়াই।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখক সেলিনা হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি যুদ্ধ করিনি। কিন্তু অনেক জায়গায় ঘুরেছি। নানাভাবে সহযোগিতার করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিয়মিত চাঁদা এবং কাপড় সংগ্রহের কাজে যুক্ত ছিলাম।’ এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে স্মৃতিচারণ করেন অধ্যাপক ডা. এম এস এ মনসুর আহমেদ, খোরশেদ আলম, আনোয়ার হোসেন খান।
আজকের আয়োজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক মেজর (অব.) কামরুল হাসান ভূঁইয়া ও মুক্ত আসরের উপদেষ্টা আফজালুর রহমান সিনহাকে উৎসর্গ করা হয়। গত ১৯ তারিখ সিস্টার ক্যাথরিন গনসালভেস প্রয়াত হওয়া কারণে তাঁকে স্মরণ করা হয়।
মুক্ত আসরের সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয়, ক্রেস্ট, বই, স্যুভেনির তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ উপচার্য মুহাম্মদ সামাদ, মুক্ত আসর প্রধান উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদুর রহমান বীর প্রতীক, কথাসাহিতিক ও মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল, মুক্তিযোদ্ধা পদ্মা রহমান, সমাজসেবী রাশেদা নাসরীন ও মনোচিকিৎসক আহমেদ হেলাল।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশফাকুজ্জামান ও সাহিনা মিতা।
জাতীয় সংগীত ও ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটি পরিবেশন করে আলোক শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীরা। ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটি পরিবেশন করে মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মৌসুমী মৌ ও সাহাদাত পারভেজ।