সাত কলেজ বিষয়ে 'পিসফুল ডিভোর্স' চায় ছাত্রলীগ

সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে। ছবি: প্রথম আলো
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে।  ছবি: প্রথম আলো

সাত কলেজের অধিভুক্তিকে একটি ‘আনহ্যাপি ম্যারেজ’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। বিষয়টির একটি ‘পিসফুল ডিভোর্স’ (শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদ) দাবি করেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা সচল রাখা ও সাত কলেজ নিয়ে যে সংকট শুরু হয়েছে, তার সমাধান চেয়ে মঙ্গলবার অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাবেশ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে সাদ্দাম ওই মন্তব্য করেন।

সাত কলেজ ইস্যু নিয়ে একটি মহল স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাদ্দাম। ক্লাস-পরীক্ষায় কেউ বাধা দিলে ‘দাঁতভাঙা জবাব’ দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সাত কলেজের অধিভুক্তির বিষয়টির একটি স্থায়ী সমাধান চায় ছাত্রলীগ। আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অধিভুক্তির বিষয়টির স্থায়ী সমাধান না হলে ছাত্রলীগ আন্দোলনে নামবে বলে জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী।

সাত সরকারি কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে। আজ বুধবারও তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন।

হামলার অভিযোগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের ওপর ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আখতারের অভিযোগ, ছাত্রলীগের হল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালান।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি, সেখানে ও রকম (হামলা) কিছু ঘটেনি। এ বিষয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগকে দিয়েই সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে চাচ্ছে প্রশাসন।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের চার দাবি
অধিভুক্তি নিয়ে গতকাল দুপুরে মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। সেখানে চার দফা দাবি জানায় তারা।

দাবিগুলো হলো ২০১৯-২০ বা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল, কলেজগুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা, কলেজগুলোর সংকট ও সমাধান চিহ্নিত করতে স্বাধীন কমিশন গঠন এবং ঢাকা, জগন্নাথ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করে কলেজগুলোকে ধীরে ধীরে অধিভুক্ত করা।