সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসন

সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি

>

দুজনের নানান ভূমিকা তুলে ধরে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ এস এম জগলুল হায়দারকে প্রতিমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। গতকাল শনিবার সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্যামনগর উপজেলাবাসীর পক্ষে অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহি। আইলা ও সিডরে বিধ্বস্ত উপকূলীয় মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে জগলুল হায়দারকে মন্ত্রী করার জোর দাবি জানিয়ে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের অপার সম্ভাবনাময় শ্যামনগর উপজেলা থেকে দেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি মাছ বিদেশে রপ্তানি করে। বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, আকাশলীনা ও গোপালপুর পিকনিক কর্নার, হরিচরণ জমিদারবাড়ি, বংশীপুর শাহি মসজিদ, বংশীপুর হাম্মাম খানাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এ উপজেলায় অবস্থিত হওয়ায় পর্যটনক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। অথচ এই জনপদের মানুষ দীর্ঘদিন কোনো মন্ত্রীর ছোঁয়া পায়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত পর্যটনশিল্পে বিপ্লব ঘটাতে নাভারণ থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন, এ অঞ্চলের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জগলুল হায়দারকে প্রতিমন্ত্রী করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি তপন কুমার দাস, শ্যামনগর উপজেলা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, শ্যামনগর কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কালিদাস রায়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, সুশীলনের সহকারী পরিচালক জি এম মনিরুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন প্রমুখ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা-৩ (শ্যামনগর, দেবহাটা ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনের সাংসদ রহুল হককে মন্ত্রী করার জন্য সম্মিলিত নাগরিক সমাজের পক্ষে দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রুহুল হক দেশের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিত্বের বাইরে রেখেও গত পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সভা সেমিনারে রুহুল হককে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছেন। আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নেও তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর অভিজ্ঞতার কারণে। ফলে শুধু সাতক্ষীরার ক্ষুদ্র স্বার্থে নয়, দেশের বৃহৎ স্বার্থে আবার এই মানুষটিকে মন্ত্রী করা প্রয়োজন।

জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ওসমান গণি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাচিপের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্যসচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ এম আরাফাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শল্যচিকিৎসক অধ্যাপক রুহুল হককে আবারও দেশ ও সাতক্ষীরাবাসীর স্বার্থে মন্ত্রী করা হোক। সাতক্ষীরায় মেডিকেল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান তাঁরই নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত ১০ বছরে জেলার সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে রয়েছে তাঁর ছোঁয়া।