রামুর বৌদ্ধপল্লিতে হামলার মামলা

সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় করা একটি মামলার ৬০ জন আসামি গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। কিন্তু সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। আদালত আজ বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ ও কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল হক বাহাদুরসহ মামলার ৬০ জন আসামি আদালতে হাজিরা দেন। তবে সাক্ষী না থাকায় সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমতাজ আহমদ আজ বুধবার পর্যন্ত সময় প্রার্থনা করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার (আজ) সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের আদালতে এই মামলার বিচারকাজ চলছে।
মমতাজ আহমদ বলেন, বুধবার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা হবে। তিনি বলেন, গত রবি ও সোমবার মামলার ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীরা বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনা আদালতে তুলে ধরলেও ভয়ে আসামিদের নাম বলছেন না।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রামুর সীমাবিহার, লালচিং ও সাদাচিং বৌদ্ধবিহারে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি ৭৪ জন। মামলার ১৪ জন আসামি পলাতক।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও ৩৪টি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদরের আরও সাতটি মন্দিরসহ ১১টি বসতিতে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পুলিশ রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর থানায় ১৯টি মামলা করে। গত বছর পুলিশ সব মামলার অভিযোগপত্র দেয়।