কেউ লিখেছেন ‘বিচারের ভুল মানদণ্ড, লঘু পাপে গুরুদণ্ড’, কারও হাতের পোস্টারে লেখা, ‘সাকিব ছিল, সাকিব থাকবে’। কারও বা হাতে, ‘বাংলার জান-বাংলার প্রাণ, সাকিব আল হাসান।’
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসানের জন্য শ তিনেক তরুণ-তরুণী কাল মানববন্ধন করেছেন শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে। মূলত বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুটি ফেসবুক ফ্যান গ্রুপের আয়োজনে এই মানববন্ধন হলেও তাতে যোগ দিয়েছেন ঢাকার মাগুরা জেলা সমিতি এবং সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। তাঁদের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বা আইনজীবী। সবার বক্তব্য এবং দাবি একটাই—সাকিবকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে অন্যায়ভাবে। এই শাস্তি কমাতে হবে।
রাজশাহী থেকে রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফুর রহমান এসেছিলেন মানববন্ধনে যোগ দিতে। সাকিবের শাস্তি কমানোর দাবি জানিয়ে বললেন, ‘শাস্তিটা অতিরিক্ত হয়ে গেছে। এতে বাংলাদেশের ক্রিকেটই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তা ছাড়া তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’ একই দাবি বাংলাদেশ রাইফেলস কলেজের ছাত্রী ফারজানারও, ‘সাকিব অন্যায় করলে শাস্তি হতেই পারে। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া শাস্তিটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমরা শাস্তি কমানোর দাবি জানাচ্ছি।’ আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জেনি শাস্তির ব্যাপারে সাকিবের বক্তব্য জানতে চেয়ে বললেন, ‘আমরা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের বক্তব্য জানি। কিন্তু শাস্তির ব্যাপারে সাকিবের কী বক্তব্য সেটা জানি না। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ প্রশ্ন তুলেছেন সাকিবকে দেওয়া শাস্তির প্রক্রিয়া নিয়ে, ‘আইনের কোন ধারা বা উপধারা অনুসরণ করে তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হলো সেটা বিসিবির পরিষ্কার করা উচিত।’ ঢাকার মাগুরা জেলা সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল হোসেনও শাস্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘এক পক্ষের কথা না শুনে কোনো শুনানি ছাড়া এ রকম একতরফা শাস্তি দেওয়া অন্যায়। কেউ চাইলে বিষয়টা নিয়ে আদালতেও যেতে পারে।’