মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে আংশিক মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আজ বুধবার রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চের অপর চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
নাশকতা ঠেকাতে সতর্কতা
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। সহিংসতায় প্রথম তিন দিনেই ৭০ জন নিহত হন।
এই মামলায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলা আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হলো।
সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের রায় যেকোনো দিন
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রকাশিত আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকার ১ নম্বর ক্রমিকে এ রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়।
আজ সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে এজলাসে আসেন প্রধান বিচারপতিসহ বেঞ্চের অপর চার বিচারপতি। সকাল ১০টা সাত মিনিটে রায় দেওয়া শুরু হয়। শেষ হয় ১০টা ১০ মিনিটে।
আপিলে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। ১০ নম্বর অভিযোগ বিসাবালিকে হত্যার, ১৬ নম্বর অভিযোগ তিন নারীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের এবং ১৯ নম্বর অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে ১০০-১৫০ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করার।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। ৬ নম্বর অভিযোগ লুণ্ঠনের, ১১ নম্বর হামলা ও লুণ্ঠনের এবং ১৪ নম্বর অভিযোগ ধর্ষণের।
৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস দেওয়া হয়। একই অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে তাঁকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। অষ্টম অভিযোগটি হত্যা ও অগ্নিসংযোগের।
এ ছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। সপ্তম অভিযোগ নির্যাতন ও বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ।
৮ নম্বর (ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা) ও ১০ নম্বর অভিযোগের (বিসাবালি হত্যা) দায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
নিরাপত্তা: আপিলের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ হাইকোর্ট এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আদালতের প্রতিটি প্রবেশপথে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়। আদালতে আগতদের পরিচয় নিশ্চিত ও তল্লাশি করা হয়। হাইকোর্টের দিকে যেতে বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
একই সঙ্গে সম্ভাব্য সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে আছেন।
পিরোজপুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। সহিংসতায় প্রথম তিন দিনেই ৭০ জন নিহত হন। ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে-এমন এলাকার তালিকা করে এবার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, কোনোমতেই যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আপিল: ট্রাইব্যুনালের রায়ে ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটিতে দোষী সাব্যস্ত হন সাঈদী। এর মধ্যে একাত্তরে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যার দায়ে আলাদা দুটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। ওই সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছিলেন এই জামায়াত নেতা। আর রাষ্ট্রপক্ষ অন্য ছয়টি অভিযোগে সাজা চেয়ে আপিল করে, যেগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাইব্যুনাল সাজা দেননি।
ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর গত বছরের ২৮ মার্চ দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ। তবে ওই সময় কাদের মোল্লার আপিল মামলা বিচারাধীন থাকায় সাঈদীর মামলার শুনানি শুরু হয়নি।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল মামলার কার্যক্রম শুরু হয়, যা ৫০ কার্যদিবসে গত ১৬ এপ্রিল দুই পক্ষের আপিলের শুনানি শেষে রায় অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
আপিলে আসামিপক্ষ দাবি করে, ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অথচ ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগে ১৯৭২ সালে যে মামলা করেছিলেন, তার এজাহারে (এফআইআর) আসামি হিসেবে সাঈদীর নাম ছিল না। পরে পুলিশ ওই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে, তাতেও সাঈদী আসামি ছিলেন না। ওই অভিযোগপত্রের অনুলিপি আসামিপক্ষ অতিরিক্ত নথি হিসেবে আপিল বিভাগে দাখিল করেছে।
আসামিপক্ষ আরও দাবি করে, একাত্তরে পিরোজপুরে দেলোয়ার হোসেন শিকদার নামের এক রাজাকার ছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ওই রাজাকারের অপরাধকে সাঈদীর ঘাড়ে চাপাচ্ছে। আর বিসাবালী হত্যাকাণ্ডের দায়ে সাঈদীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অথচ বিসাবালীর ভাই সুখরঞ্জন বালী রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়া সত্ত্বেও আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অপহরণ করা হয়।
পক্ষান্তরে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি করে, ইব্রাহিম কুট্টি হত্যাসংক্রান্ত যে নথির কথা আসামিপক্ষ বলছে, তা জাল ও মিথ্যা। বরিশাল ও পিরোজপুরের জেলা জজ আদালতে ওই ধরনের কোনো নথির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। মামলার প্রয়োজনে আসামিপক্ষ ওই নথি তৈরি করেছে, এ জন্য সেগুলো বিবেচনা না করার আরজি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আর সুখরঞ্জন বালীকে অপহরণের ঘটনাও আসামিপক্ষের তৈরি করা। কারণ, ওই ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
ট্রাইব্যুনালের রায়: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এগুলো হলো: ৬, ৭, ৮, ১০, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগ।
এর মধ্যে ৮ ও ১০ নম্বর অভিযোগ হত্যার, ১৪ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ ধর্ষণের এবং ১৯ নম্বর অভিযোগ ধর্মান্তরিত করার। বাকিগুলো নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন এবং এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ।
সাঈদীর বিরুদ্ধে ৬ নম্বর অভিযোগ-মাখনলাল সাহার ২২ সের স্বর্ণ লুট করা।
৭ নম্বর অভিযোগ-মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম সেলিমকে নির্যাতন ও তাঁর বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ।
৮ নম্বর অভিযোগ-একাত্তরের ৮ মে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা এবং পিরোজপুরের পারেরহাট এলাকায় হিন্দুদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১০ নম্বর অভিযোগ-একাত্তরের ২ জুন বিসাবালিকে হত্যা এবং উমেদপুর হিন্দুপাড়ার ২৪টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১১ নম্বর অভিযোগ-মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়িতে হামলা ও লুণ্ঠন।
১৪ নম্বর অভিযোগ-মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে হোগলাবুনিয়ার হিন্দুপাড়ায় এক নারীকে ধর্ষণ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ।
সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৬ নম্বর অভিযোগ-তিন নারীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণ।
ধর্মান্তরিত করার ১৯ নম্বর অভিযোগ-প্রভাব খাটিয়ে পারেরহাটসহ অন্য গ্রামের ১০০-১৫০ হিন্দুকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা।
ইব্রাহিম কুট্টি (৮ নম্বর অভিযোগ) ও বিসাবালিকে হত্যার (১০ নম্বর অভিযোগ) দায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি, ধর্মান্তরিত করার একটি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্য অভিযোগগুলোতে আলাদা করে কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি।
ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ১ থেকে ৫ এবং ৯, ১২, ১৩, ১৫, ১৭, ১৮ ও ২০ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এর মধ্যে গণহত্যার চারটি (২, ৪, ১২, ১৫), ধর্ষণের দুটি (১৭ ও ২০) ও হত্যার (১, ৫, ১৩ ও ১৮) চারটি অভিযোগ। বাকি দুটি অভিযোগ ছিল লুটপাটের।
রায়ে বলা হয়, প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ, নথি ও যুক্তির ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল মনে করেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও ধর্মান্তরিত করা এবং এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম অভিযোগে ইব্রাহিম কুট্টি ও দশম অভিযোগে বিসাবালি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপরাধের গভীরতা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল মনে করেন, আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।
চূড়ান্ত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো। বাকি ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তা মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মতো নয়। তাই এগুলোতে তাঁকে আলাদা কোনো শাস্তি দেওয়া হলো না। প্রমাণিত না হওয়া ১২টি অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দেওয়া হলো।
২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেপ্তার হন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার: মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত দুই ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত নয়টি মামলার রায় দিয়েছেন। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ১০। তাঁদের মধ্যে আবুল কালাম আযাদ এবং চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান পলাতক থাকায় আপিল করেননি। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজন আপিল করেছেন। আপিল নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার।
আজ বুধবার সাঈদীর রায় হওয়ায় আরও চারটি মামলা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকছে। এগুলো হলো জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম (৯০ বছর কারাদণ্ড), সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ (মৃত্যুদণ্ড), সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান (মৃত্যুদণ্ড) ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (মৃত্যুদণ্ড) আপিল। এর মধ্যে কামারুজ্জামানের করা আপিলের শুনানি চলছে।
বিএনপির নেতা আবদুল আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। তিনি আপিল করলেও মারা যাওয়ার কারণে গতকাল মামলা বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।