সাংবাদিক ও প্রথমা প্রকাশনের সমন্বয়ক অরুণ বসুকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর কর্মস্থল প্রথম আলোর সহকর্মীরা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে তাঁর মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অরুণ বসু। তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন। ৫ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আজ বেলা আড়াইটায় অরুণ বসুর মরদেহ প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসা হয়। প্রথমেই প্রথম আলো পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ও সোহরাব হাসান, প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি, জ্যেষ্ঠ পাণ্ডুলিপি সম্পাদক আখতার হুসেন ও প্রশাসনের প্রধান উৎপল চক্রবর্তীসহ অনেকে। এরপর প্রথমা প্রকাশনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখানে অপেক্ষমাণ সহকর্মীরা একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি বলেন, ‘অরুণদার মৃত্যু আমাদের শোকাভিভূত করেছে। তিনি প্রথম আলোর নানা বিভাগে কাজ করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ছোট-বড় সবার সঙ্গে তিনি সহজে মানিয়ে নিতে পারতেন, এটাই ছিল তাঁর বড় গুণ। বাংলা ভাষার ওপর ছিল তাঁর অগাধ দখল। আমরা লেখালেখির নানা প্রয়োজনে তাঁর শরণাপন্ন হতাম। ভাষাগত কোনো বিষয়ে গভীর রাতেও তাঁর কাছে পরামর্শ চেয়েছি।’
অরুণ বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম জাকারিয়া বলেন, ‘অরুণদা এত দ্রুত আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, এটা ছিল কল্পনাতীত। তিনি কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। পরে আবার সুস্থ হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তারপর অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
অরুণ বসুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একপর্যায়ে সেখানে আসেন তাঁর সহধর্মিণী কবিতা গোস্বামী ও একমাত্র ছেলে মেঘমল্লার বসু। আজ বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ মহাশ্মশানে অরুণ বসুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
অরুণ বসুর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১০ নভেম্বর। ১৯৯৯ সালের ১ মার্চ তিনি প্রথম আলোতে যোগ দেন। এর আগে তিনি গণ সাহায্য সংস্থায় সমন্বয়কারী হিসেবে ৬ বছর কাজ করেন।