হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা

সর্বশেষ পলাতক আসামিকে ঢাকায় আনা হয়েছে

জেএমবির শীর্ষ নেতা মো. শরিফুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার পলাতক এই আসামিকে গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নাচোল–মহিপুর সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাব জানায়, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ ওরফে রাহাত ওরফে নাহিদ ওরফে আবু সুলাইমান নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে র‍্যাব।

র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গুলশানে জঙ্গি হামলার পর শরিফুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তিনি গুলশান হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে পাঁচ তরুণের ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন সেনা কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি। তাঁরা হলেন রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর গত বছরের ২৩ জুলাই পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করেন এবং তাঁদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে ওই হামলা চালান। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বানানো।

আসামিদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছর ২৬ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান। মামলার আসামিদের মধ্যে নব্য জেএমবির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‍্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগরকে আগেই গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বাকি দুই আসামি শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ রিপনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে সম্পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত বছরের ১৯ জুন মধ্যরাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকা থেকে জঙ্গি মামুনুর রশিদ রিপনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

আরও পড়ুন: