বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনতে নয়, বরং এসব জিনিসে ব্যবহৃত উপকরণের মান যাচাইয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের জার্মানিতে যাওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন পণ্যের প্রাক্–জাহাজীকরণের আগে মান যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা আছে। সে কারণেই এই সফর। সরকারি আদেশে অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে এই বিভ্রান্তির উৎপত্তি।
আজ শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এ সফরকে কেন্দ্র করে যে সরকারি আদেশ বা জিও জারি হয়েছিল, তাতে অসাবধানতাবশত ভুল রয়েছে। আপাতদৃষ্টে জিওটি পড়লে মনে হয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনতে জার্মানিতে যাচ্ছেন। অথচ বিষয়টি তা নয়। চাদর ও বালিশের কভার—কোনোটিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। জিওর শব্দগত বিন্যাসের কারণেই এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) অনুসরণ করেই কেনাকাটার কাজটি হচ্ছিল। এ ক্ষেত্রে যিনি বা যাঁরা কিনছেন, তাঁর বা তাঁদের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদনসংশ্লিষ্ট কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের বাধ্যবাধকতা আছে। এর অংশ হিসেবেই এ সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, জার্মানি থেকে চাদর আমদানি করা হবে না। বাংলাদেশে যেহেতু ভালো মানের রং তৈরি হয় না, সেহেতু রং যেন ইউরোপীয় মানের হয় সেটা দরপত্রে উল্লেখ ছিল। সেটা দেখতেই পুলিশ মহাপরিদর্শকের এই সফরে যাওয়ার কথা। এর আগের আইজিপিও একই সফর করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সরকারি আদেশের ভুল সংশোধন না হলে পুলিশ মহাপরিদর্শক জার্মানি সফরে যাবেন না। এ বিষয়ে কাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে সদর দপ্তর।