করোনা মহামারির মধ্যেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিবিড় করার লক্ষ্যেই ঢাকা সফর করছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এস জয়শঙ্কর। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে আসতে পারা সব সময় আনন্দের। এক বছরের কিছুটা বেশি সময় পর আবার ঢাকায় এলাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কোভিড-১৯ মহামারির এই চ্যালেঞ্জের সময়েও আমরা নিয়মিতভাবে একে অন্যের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত থেকেছি। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অগ্রগতি হয়েছে।’
গত বছর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। এসব সফরকে সম্পর্কের এক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কাকতালীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী।’
প্রতিবেশী হিসেবে নিয়মিত, অনানুষ্ঠানিক ও আন্তরিক আলোচনা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্কের প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে। আজ বিকেলে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে আমি তাঁর কাছে শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুবিধাজনক সময়ে আমরা তাঁকে ভারতে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কে সোনালি অধ্যায় চলছে। গত বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি...বাংলাদেশ ও ভারত ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। দুই দেশ একসঙ্গে যেভাবে কাজ করেছে, তা ইতিহাসে অনন্য। বড় বড় সমস্যা আমরা সমাধান করেছি।’
যে ছোটখাটো সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের জন্য উভয় পক্ষ থেকে অঙ্গীকার করা হয়েছে বলে জানান এ কে আব্দুল মোমেন।