প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সব টেলিভিশন চ্যানেলের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সকল টেলিভিশন চ্যানেল পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’
শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে (পিএমও) বাংলাদেশ টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতির (এটিসিও) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আগে কেবল একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল—বিটিভি। আমরা ৯৬ সালে সরকার গঠনের পর এটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি (বেসরকারি খাতে)।’ তিনি বলেন, ‘তাঁর সরকার সংবাদ প্রচারেও স্বাধীনতা দিয়েছে।’
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠনের (এটিসিও) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১–এর মাধ্যমে সম্প্রচার শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
কেবল টিভি সম্প্রচার কার্যক্রম ডিজিটাইজেশনের আওতায় এনে সব চ্যানেলকে পে-চ্যানেলে রূপান্তর করাসহ বিভিন্ন দাবিও এ সময় উপস্থাপন করেন তাঁরা।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী সালমান এফ রহমান এবং তথ্যসচিব আবদুল মালেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে এটিসিও চেয়ারম্যান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী, ডিবিসি চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী ইকবাল সোবহান চৌধুরী, একাত্তর টিভির এডিটর ইন চিফ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।