সবুজের মাঝে লালগিরি

>

দূর থেকে হঠাৎ দেখলে মনে হবে নড়েচড়ে উঠেছে একটি চড়ুই অথবা বাবুই পাখি। একই বর্গিয় হলেও বাংলাদেশে লাল এই পাখি বিরল। শীত মৌসুমে এই পাখিরা পরিযায়ী হয়ে আসে আমাদের দেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। প্রজনন মৌসুম মে মাস শুরু আগেই আবার চলে যায় অন্য দেশে। তুঁত ফল খেতে ভালোবাসে বলে বাংলা নাম ‘পাতি তুঁতি’। রঙমাখা পালকের জন্য ‘লালগিরি’ বা ‘লাল বঘেরি’ নামেও পরিচিত।

লাজুক পাখিগুলো বাস করে লোকালয় থেকে দুর বনাঞ্চলে। এদের পিঠের রং খয়েরি বা কালো আর বুক, গলা, মাথার রং গোলাপি বা লাল। অবশ্য স্ত্রী পাখিদের পালক এত বাহারী রঙের নয়।
লাজুক পাখিগুলো বাস করে লোকালয় থেকে দুর বনাঞ্চলে। এদের পিঠের রং খয়েরি বা কালো আর বুক, গলা, মাথার রং গোলাপি বা লাল। অবশ্য স্ত্রী পাখিদের পালক এত বাহারী রঙের নয়।
প্রজাতিটি ১৩-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। স্ত্রী পাখির মাথা, পিঠ ও লেজ চকচকে হলদে বাদামি। গলা, বুক ও পেট সাদাটে। ঠোঁট ত্রিকোণাকৃতির, ত্বক-কালচে। পা ধূসর-বাদামি।
ঘন বনভূমি, বন ও পার্বত্য বনাঞ্চলে কপাল ভালো থাকলে হঠাৎ দেখা মেলে পাখিটির। চটপটে পাখিগুলো কিছুটা ভবঘুরে স্বভাবের। উচ্চ স্বরে এদের ডাক শুনলেই অন্য পাখিদের থেকে আলাদা করা যায়।
খাদ্য হিসেবে তুঁত ছাড়াও ঘাসবীজ, কুঁড়ি, কচিপাতা, ছোট ফল খায় এরা। ছোট পোকামাকড়ও রয়েছে এর খাদ্যতালিকায়।
প্রজনন মৌসুম মে থেকে আগস্ট এর আগেই এরা বাসা বাঁধে কিছুটা উঁচু ঝোপ আকৃতির গাছে।
পাখিটির প্রজনন ভূমি সুইডেন, সাইবেরিয়া, ককেশাস, বেরিং সাগর, ইরানের উত্তরাঞ্চল, জাপান, আফগানিস্তান, পশ্চিম হিমালয়, তিব্বত ও চীন।