সখীপুরে বৃদ্ধ সমেলা ভানু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার নওগাঁ জেলার বাসিন্দা বাবু শেখ ২০ নভেম্বর নাটোর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সমেলাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বাবু শেখের নেতৃত্বে একটি খুনি চক্র সখীপুর ও মির্জাপুরে দুজন বৃদ্ধাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় নয়জন নারীকে খুন করে। সখীপুর থানা-পুলিশ নাটোর থেকে আসামি বাবু শেখকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে গতকাল বুধবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। বাবু শেখ টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতেও সমেলাসহ সারা দেশে নয়জন নারীকে খুন করার কথা স্বীকার করেন।
বাবু শেখ ওরফে কালু (৪৫) নওগাঁর রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের জাহের আলীর ছেলে।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির জানান, গত ৯ জুলাই রাতে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের আমড়াতৈল গ্রামের মৃত বাবর আলীর স্ত্রী সমেলা (৫৭) খুন হন। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়। খুনিরা তাঁকে খুন করে একটি সোনার চেইন ও ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ১০ জুলাই সমেলার ছেলে হোসেন আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা লুৎফুল কবির জানান, এই ঘটনার দুই মাস পর ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মির্জাপুরের হরতকীতলা গ্রামের কাঞ্চু খানের স্ত্রী রূপভানু বেগমকেও (৬০) শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু শেখ। সেখান থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করেন তিনি। বাবু শেখ পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, দুই খুনে নওগাঁর গোলাম রসুল ওরফে ডাবুকে তিনি সঙ্গে নিয়েছিলেন।
লুৎফুল কবির বলেন, সখীপুরের সমেলা ভানুর গলায় থাকা সোনার চেইনটি বাবু শেখ গাজীপুরের গাছা থানার স্বর্ণপট্টিতে কামরুল নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। এ পর্যন্ত আটবার তিনি কামরুলের কাছে চুরি করা সোনার গয়না বিক্রি করেছেন। চুরির মাল কেনার অপরাধে পুলিশ কামরুলকে গ্রেপ্তার করে বাবু শেখের সঙ্গে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গত সোমবার রাতে সখীপুর থানায় বাবু শেখ দাবি করেন, কাজকর্ম না থাকায় গ্রামে ঘুরে ঘুরে মাছ শিকার ও চুরি করেন তিনি। চুরি করতে গিয়ে নারী ধর্ষণ ও খুনের নেশায় জড়িয়ে পড়েন।