করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ করা হবে। এসব জোনের নাম হবে ‘রেড জোন’, ‘ইয়েলো জোন’ ও ‘গ্রিন জোন’। এসব জোন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এক জোন থেকে আরেক জোনে (ভালোর দিকে) নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণও বাড়ছে। সে জন্য রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল এই জোনগুলোর মধ্যে রেড জোনকে কীভাবে গ্রিন জোন করা যায়—সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো জোন করা হয়নি। ঢাকা, নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। যদি কোনো জোন রেড হয়, সেগুলো রেড করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। সেটা নিয়ে নীতিগতভাবে এখানে (আজকের সভায়) আলোচনা হয়েছে। এখন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেওয়া হবে। তখন মেয়র, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়—সবাই মিলে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যেসব এলাকায় বেশি সংক্রমিত হবে, তা কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রাখা (লকডাউন) হতে পারে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন, সেভাবেই কাজ করা হবে।
সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।