৩৩৩ নম্বর

সংকোচে সামনে আসেননি, ফোন পেয়ে সহায়তা

২৫ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ফোন করা সারা দেশের ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮০টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রামে দরিদ্র মানুষ বেশি। এ জেলার উলিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ-জান্নাত গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে জানান, ২৩ জুলাই চলমান বিধিনিষেধ শুরুর দুদিন আগে থেকে এ পর্যন্ত জরুরি হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে তাঁদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে খোঁজখবর নিয়ে ২০ জনকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, তেল, আলু, লবণসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০ জনকে সহায়তার প্রয়োজন পড়েনি। কারণ, তাঁরা চলার মতো অবস্থায় আছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল থেকে গতকাল পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাওয়া ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮০টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন, যার আওতায় ১০০ কোটি বরাদ্দ দেন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাওয়া মানুষের জন্য।

করোনাকালে আর্থিক সংকটে থাকা যেসব পরিবার প্রকাশ্যে সহায়তা চাইতে সংকোচ বোধ করেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে ৩৩৩ নম্বরটি রেখেছে সরকার। সরকারের এটুআই কর্মসূচি সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল থেকে সোমবার পর্যন্ত ৩৩৩ নম্বরে ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ২টি কল আসে। এর মধ্যে অবশ্য অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় ও ভুল ফোনও আছে। ফোনগুলো যাচাই-বাছাই করে ২ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জনের তথ্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নতুন প্যাকেজের টাকা ছাড় পাওয়ার পরপর ১৫ জুলাই তাঁরা ৬৪ জন জেলা প্রশাসকের অনুকূলে তা বণ্টন করেছেন। উপজেলা, ইউনিয়ন এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলাওয়ারি এই টাকা বণ্টন করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে শুধু করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ
সহায়তা পান।

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ইউএনও গোলাম মোরশেদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এক সপ্তাহ আগে সেখানে যোগ দিয়েছেন। এরপর এখন পর্যন্ত পাঁচজন সহায়তা চেয়ে ফোন করেছেন। তাঁদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে তিনজনকে সহায়তা করা হয়েছে।