বগুড়ায় কাজের খোঁজে গ্রাম থেকে এসে শ্রম বিক্রির হাটে দাঁড়ানো শ্রমজীবীদের চাপা দিয়ে পালিয়েছে পিকআপ ভ্যান। এ ঘটনায় ছয়জন শ্রমজীবী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শনিবার ভোরে বগুড়া শহরতলির মাটিডালি এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মন্টু মিয়া (৫৬), একই উপজেলার খামার পাঁচগাছি গ্রামের আজগর আলী (৫০), বগুড়া সদর উপজেলার খামারকান্দি গ্রামের রশিদুল ইসলাম (৫০) এবং একই উপজেলার তেলিহারা গ্রামের আবু জাফর (৪৫)। আহত দুজন হলেন রংপুরের পীরগঞ্জের হাসানপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নালার বাতান গ্রামের খাজির উদ্দিন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মাটিডালি এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদের সামনে প্রতিদিন ভোরে শ্রম বিক্রির হাট বসে। কাজের সন্ধানে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এসে এখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার ভোরেও এই শ্রমের হাটে বেশ কিছু শ্রমজীবী লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোর ছয়টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথার দিক থেকে আসা রংপুরগামী একটি দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যান তাঁদের কয়েকজনকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ছয় শ্রমজীবীকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সকাল সাতটার দিকে দিনমজুর আবু জাফর, আজগর আলী এবং রশিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বেলা ১১টার দিকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অন্য দিনমজুর মন্টু মিয়া। আহত দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হতাহত সবাই দিনমজুর। কাজের খোঁজে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে মাটিডালি শ্রমের হাটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পিকআপ ভ্যানটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করাও সম্ভব হয়নি।