পেঁয়াজ দেশি কেজি ৬৫ -৭০ টাকা। ভারতীয় কেজি ৪০-৪৫ টাকা।
চিনি প্রতি কেজি ৬৫ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়।
শীতের সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা।
আমদানি করা পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা। দেশি পেঁয়াজ ও চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে।
শ্যামবাজারের নবীন ট্রেডার্সের মালিক নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের পথে। তাই দাম বাড়তি। দুই সপ্তাহ পরই নতুন মৌসুমের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। তিনি বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজে সবাই লোকসান দিচ্ছেন।
বুড়িগঙ্গা নদীর ঠিক তীরেই শ্যামবাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, নদীর পাড়েই ফেলে রাখা হয়েছে পচা পেঁয়াজ। দুর্গন্ধে টেকা দায়, ভনভন করে মাছি উড়ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত রপ্তানি বন্ধের পর মিসর, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে বিপুল পেঁয়াজ এসেছে। কিন্তু বাজারে ততটা চাহিদা নেই। আমদানি করা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না। তাই একাংশ পচেই যাচ্ছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক আমানত ভান্ডারের মালিক শংকর লাল প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ৪০ থেকে ৬৫ টাকা খরচ পড়েছে। পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। তারপরও বিক্রি কম।
এদিকে বাজারে চিনি ছাড়া আর কোনো পণ্যের দামে বিশেষ হেরফের হয়নি। এক সপ্তাহ আগে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা ছিল। তা এখন ৬৫ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়তি। তাই দেশের পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
ঢাকার ধূপখোলা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১১৫ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। পাম তেলের দাম প্রতি লিটার ৯১ থেকে ৯৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা বোতলের তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দিতেন। এখন আর দিচ্ছেন না।
বাজারে বেশির ভাগ শীতের সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা কেজিতে উঠেছে। কক মুরগি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। গরুর মাংস পাওয়া যায় প্রতি কেজি ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকায়।