গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে আটক নিহত জঙ্গি শফিউলের আশ্রয়দাতা আনোয়ার হোসেনের (৪৫) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর জুডিশিয়াল আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আ. ছালাম খান শুনানি শেষে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
কিশোরগঞ্জ আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর সুনীল চন্দ্র সরকার জানান, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আনোয়ার হোসেনকে কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মীর মোশারফ হোসেন। আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আ. ছালাম খান শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।’
এর আগে গাইবান্ধা থানার পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় আনোয়ার হোসেনকে কিশোরগঞ্জ আদালতে নিয়ে গেলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ তাঁকে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা মামলায় ‘শ্যেন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে আদালতে হাজির করে।
শোলাকিয়া হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া জঙ্গি আবির রহমান ও শফিউলকে আশ্রয় দেওয়া সন্দেহভাজন জঙ্গি আনোয়ার হোসেন গাইবান্ধা জেলার পান্থপাড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। শোলাকিয়ায় হামলার পর গত ২৪ জুলাই গাইবান্ধা পুলিশ তাঁকে প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই ঈদের দিন সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ সময় জঙ্গিরা বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে আতঙ্ক তৈরি করে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল হক নামের দুই পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে। এ সময় ঘরের ভেতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক। একই সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আবির রহমান নামের এক জঙ্গি। এ ঘটনায় সংঘর্ষের সময় শোলাকিয়া এলাকা থেকে আটক জঙ্গি শফিউল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরেক যুবক ৪ আগস্ট রাতে র্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নান্দাইল উপজেলার ডাংরি এলাকায় নিহত হন।