শেষ দিনে প্রার্থীদের ঢল

ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রথম আলো
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।  প্রথম আলো

উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল বুধবার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। এর মধ্যে ফরিদপুরে ৪০ জন, শরীয়তপুরে ২১ জন, মাদারীপুরে ১৭ জন এবং রাজবাড়ীতে ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভিন্ন উপজেলায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা। এ সময় প্রার্থীদের মুখে মিষ্টি তুলে দেন সমর্থকেরা। পরে সমর্থকদের মধ্যেও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

ফরিদপুর-২ আসনে (সালথা, নগরকান্দা ও সদরপুরের একাংশ) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। গতকাল তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এই আসনে অন্যদের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ও শহীদুল ইসলাম বাবুল, জাকের পার্টির মোস্তফা আমীর ফয়সাল প্রমুখ।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির দুই প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, তাঁর মেয়ে নায়বা ইউসুফসহ ৯ জন।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামলা ইবনে ইউসুফ গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রথম আলো

ফরিদপুর-১ আসনে (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনজুর হোসেন, বিএনপির শাহ মো. আবু জাফর ও খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মৃধা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এখানে আরও ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুরের একাংশ) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের কাজী জাফর উল্লাহ, বিএনপির খন্দকার সেলিম ও শাহরীয়ার ইসলাম শায়লা, স্বতন্ত্র সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন প্রমুখ।

মাদারীপুর-২ (সদরের একাংশ ও রাজৈর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে তিনি গাড়িবহর নিয়ে রাজৈরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সোহানা নাসরিনের কাছে দ্বিতীয় দফা মনোনয়ন দাখিল করেন। এই আসনে বিএনপির দুজন প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যসহ আরও চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মাদারীপুর ১ (শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী দুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপির দুই প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী ও নাদিরা আক্তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তা ছাড়া এই আসনে আরও তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সাজেদা চৌধুরী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রথম আলো

মাদারীপুর-৩ (সদরের একাংশ ও কালকিনি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ বেলা দুইটার দিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনসহ তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

রাজবাড়ী (সদর ও গোয়ালন্দ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সাংসদ কাজী কেরামত আলী। বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম এবং সহসভাপতি মো. আসলাম মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীর আক্তারুজ্জামান হাসানসহ চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

রাজবাড়ী-২ আসনে (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মো. জিল্লুল হাকিম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী তিনজন। তাঁরা হলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাসিরুল হক (সাবু), জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবিএম নুরুল ইসলাম।

এ ছাড়া শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন অপু (আওয়ামী লীগ), সরদার নাসির উদ্দিন কালুসহ (বিএনপি) ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া শরীয়তপুর-২ আসনে এ কে এম এনামুল হক শামীম (আওয়ামী লীগ), সফিকুর রহমান কিরণসহ (বিএনপি) সাতজন ও শরীয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ), মিয়া নুরুদ্দিন অপুসহ (বিএনপি) পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।