শেরপুরে পুলিশ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, হাসপাতালের কর্মচারীসহ নতুন করে ৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে ইতিমধ্যে ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার কর্মচারী এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতাবনগর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক নারী।
এ ঘটনার পর সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। শুধু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চলবে। এর আগে গত শুক্রবার ঝিনাইগাতী থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার রাজারবাগে পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ, ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) মো. জসিম উদ্দিন এবং নকলার ইউএইচএফপিও মো. মজিবর রহমান আজ সোমবার রাতে প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, গতকাল রোববার করোনা পরীক্ষার জন্য ৮৪ জনের নমুনা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে পাঠানো হয়। আজ রাতে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাতে ওই সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ বলে নিশ্চিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক সংস্পর্শের কারণে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, গতকাল করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নিজের ও সদরের ইউএইচএফপিও মো. মোবারক হোসেনের নমুনাও পাঠানো হয়েছিল। তবে তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাঁর কার্যালয়ের চারজন কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঝিনাইগাতীর ইউএনও রুবেল মাহমুদ আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, করোনায় আক্রান্ত থানার দুই কর্মকর্তা ও এক নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।