মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদান সাধারণ কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কাজের মধ্যে পড়বে—সিটি করপোরেশন বিধিমালার এমন উপবিধি প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর (নারী) গত মাসে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
২০১২ সালে সিটি করপোরেশন (কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরগণের দায়িত্ব কার্যাবলি ও সুযোগ–সুবিধা) শিরোনামে বিধিমালা হয়। বিধিমালার ৩(৩) উপবিধি অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদান করা সাধারণ কাউন্সিলরদের দায়িত্ব ও কাজের মধ্যে পড়বে। এরপর গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করে।
ওই উপবিধি ও দাপ্তরিক আদেশের বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয় বলে জানান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ–জাতীয় সনদপত্র সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলরদের কর্তৃক প্রদান করার আইনগত বা বিধিগত সুযোগ নেই বলে ২৮ নভেম্বরের দাপ্তরিক আদেশে বলা হয়। এতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র দিতে পারবেন না। অথচ সংবিধান অনুসারে সবার জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে ও কারও প্রতি বৈষম্য করা যাবে না। এমন যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
রুলে ওই বিধিমালার ৩ (৩) উপবিধি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং ২৮ নভেম্বর দাপ্তরিক আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অন্য কাউন্সিলরদের মতো সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের সম–অধিকার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিবসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।