সিলেটে শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন সাঈদের বাবা আবদুল মতিন, মামলা আশরাফুজ্জামানসহ পাঁচজন সাক্ষ্য দেন। বিচারক আবদুর রশিদ সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, সাঈদের বাবা ও মামা ছাড়াও আজ সাক্ষ্য দিয়েছেন সাঈদের প্রতিবেশী ফিরোজ আহমদ, ওলিউর রহমান ও শফিকুর রহমান। মামলার চার আসামির উপস্থিতিতে এ পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী রোববার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। মামলায় মোট সাক্ষী ৩৭ জন।
গত ১১ মার্চ নগরের শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ অপহৃত হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার তিন দিন পর ১৪ মার্চ নগরের ঝর্ণারপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিলেট বিমানবন্দর থানায় কর্মরত কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) এবাদুর রহমান, জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক এন ইসলাম ওরফে রাকীব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথিত ‘তথ্যদাতা’ আতাউর রহমান ওরফে গেদাকে আটক করা হয়।
সাঈদের বাবা মতিনের করা মামলায় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ মামলার আরেক আসামি জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মহি হোসেন ওরফে মাসুম পলাতক ছিলেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে ৮ নভেম্বর পলাতক মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১০ নভেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ১৭ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করার মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।