তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, শিগগিরই ভুয়া অনলাইনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে অনলাইন জার্নাল ‘রিপোর্টার্স ভয়েস’ উদ্বোধন ও ডিআরইউ সদস্য লেখক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান এবং ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী এ সময় বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে হাতে গোনা কয়েকটি অনলাইন ছিল, এখন অনলাইনের সংখ্যা অনেক, তবে সবগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সহায়ক নয়। সে জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম চলছে। যে সমস্ত অনলাইন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পরিবর্তে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহৃত হয়, যে সমস্ত অনলাইন গুজবের সঙ্গে যুক্ত এবং সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে, সেগুলোর ব্যাপারে আগামী বছর থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম এগিয়ে যাওয়ার পর এই আইনগত ব্যবস্থা শুরু হবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এটি যেমন সমাজের চাহিদা, একইভাবে সাংবাদিক সমাজেরও চাহিদা। যেসব অনলাইন নিউজ পোর্টাল সত্যিকার অর্থে সংবাদ পরিবেশনের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা না করে ভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করে, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর প্রেক্ষাপট। উন্নত দেশগুলোয় এ ক্ষেত্রে অনেক শৃঙ্খলা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে, যেটি এখনো এখানে পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে দিতে গিয়ে অনেক সময় ভুল সংবাদ এবং অসত্য তথ্য পরিবেশিত হয়।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, অনেক বেশি ক্লিক পাওয়ার জন্য দেওয়া হেডিংয়ের সঙ্গে ভেতরের সংবাদের মিল নেই। বিশেষ করে যেসব অনলাইনে কোনো অনুষ্ঠান চলাকালীন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষমতা রিপোর্টারকে দেওয়া থাকে, সেখানে অনেক অনিচ্ছাকৃত ভুল হতে দেখা যায়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এটা কমিয়ে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে পিআইবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে, যা সত্যিই প্রয়োজনীয়।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এখন দেখা যায় কেউ একজন অনলাইন পোর্টাল খুলে সাংবাদিকের কার্ড নিয়ে নিলেন। তিনি আসলে প্রকৃত সাংবাদিক নন, সেই কার্ডের জন্যই সাংবাদিক সেজেছেন। এগুলো বন্ধ করার জন্য রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের যেসব ফোরাম আছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিছু কিছু সাংবাদিক নামধারীর জন্য পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ কোর্টে অনেক সময় ভুয়া উকিল ধরা পড়ে। আইনজীবী সমিতিই কিন্তু ভুয়া উকিল খুঁজে বের করে। এ ক্ষেত্রেও সাংবাদিকদের ফোরামগুলো উদ্যোগী হলে সরকার আপনাদের পাশে থাকবে, সহায়তা দেবে।
ডিআরইউ জার্নাল রিপোর্টার্স ভয়েস উদ্বোধনের পর ৩০ সাংবাদিককে লেখক সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।