করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধের মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনলাইন শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা শুরুও করেছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
আজ সোমবার আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সুবিধার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় সেমিনারে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দিতে মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
করোনা-পরবর্তী সময়েও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ে টিউশন ফির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। একেবারে টিউশন ফি না দিলেও প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। তাই দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক হতে হবে।
বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার বিস্তার এবং মেধাবী জাতি তৈরিতে ইন্টারনেটকে ব্যয় নয়, এটিকে রাষ্ট্রের বড় বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। শিক্ষা বিস্তারের স্বার্থে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা সহজলভ্য করতে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরও যুক্ত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা।