শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অবহেলা হলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
ফাইল ছবি

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানায় অবহেলা করা হলে, তার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের যাঁরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।

আজ রোববার রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধের পর আজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। মেডিকেল কলেজগুলো খুলবে আগামীকাল। চলমান করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাঙ্গনে দীর্ঘ অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির অবসান ঘটেছে আজ। অপেক্ষার পালা শেষে প্রাণহীন শিক্ষাঙ্গনে আজ আবার প্রাণের ছোঁয়া লেগেছে।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ খুললেও শুরুতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে এক দিন ক্লাস করতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে যেদিন যে শ্রেণির ক্লাস থাকবে, সেদিন ওই শ্রেণির সর্বোচ্চ দুটি ক্লাস হবে। প্রাথমিকে হবে দিনে তিনটি করে ক্লাস। প্রাক্-প্রাথমিক স্তরে সশরীর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি যদি অনুকূল হয়, তাহলে অষ্টম জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অষ্টম শ্রেণিতে এখন সশরীরে সপ্তাহে একটি ক্লাস হলেও অনলাইন, টিভি ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পড়াশোনা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল যেহেতু দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের শেখায় ঘাটতি হয়েছে, তাই শিক্ষাবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতি শিক্ষাবর্ষ দু-এক মাস বাড়ানো হবে কি না। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন কী কী ঘাটতি হয়েছে বা কতটুকু হয়েছে, সেটা মূল্যায়ন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলার সময় ফটকের বাইরে ভিড় না করতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক।