ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে দেওয়া এক চিঠিতে এই সম্মতির কথা জানানো হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে চিঠিটি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ঢাকার দূতাবাস জানাচ্ছে যে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর ল্যাবগুলোর পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফ্লাইট চলাচল শুরু করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর সাতটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার বসাতে নির্বাচিত করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জমা দেয় ১৬ সেপ্টেম্বর। এসব এসওপি যাচাই করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়। এর সম্মতি আমিরাত কর্তৃপক্ষ আজ দিল।
গত আগস্টে আমিরাত সে দেশে যেতে যাত্রার ছয় ঘণ্টা পূর্বে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার শর্ত আরোপ করে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না প্রবাসীরা।
এদিকে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয় দ্রুত করোনার র্যাপিড আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন প্রবাসীরা। এ দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ, স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচিও পালন করেন।
৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা শনাক্তে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা প্রস্তুত ও এ-সংক্রান্ত সম্মতি পাওয়া গেলেও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর যন্ত্র বসানো বা করোনা পরীক্ষা চালুর বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।