রাজধানীর শান্তিনিকেতনে ব্যবসায়ী শাহ মো. তোবারক হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই মামলায় ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য গ্রেপ্তার অপর তিন আসামিকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এই আদেশ দেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামি হলেন ইমন হাসান ও গোলাম রাব্বি। আর রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাবুল প্রধান ওরফে বাবু, সোহেল প্রধান ও আলামিন খন্দকার ওরফে রিহান।
শান্তিনিকেতনের নিজ বাসায় ২৫ ডিসেম্বর খুন হন তোবারক হোসেন। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, মহাখালীতে মামা প্লাজায় ব্যবসায়ী তোবারক হোসেনের কয়েকটি দোকান আছে। বেশ কয়েক বছর আগে শাহিন ও শিহাব নামের দুজন তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) তাঁর ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। তবে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় শাহিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন তোবারক। তখন থেকে তোবারকের ওপর শাহিনের ক্ষোভ জন্মায়। পরে কয়েকজনের সঙ্গে মিলে তোবারকের বাসায় ডাকাতি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাঁদপুর থেকে চারজন ও কুমিল্লা থেকে একজন লোক ভাড়া করা হয়।
কীভাবে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়, সে ব্যাপারে পুলিশ বলছে, তোবারকের বাসায় আসামি ইমনকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন আসামিরা। ১৭ ডিসেম্বর ইমনকে ওই বাসার কাজের লোক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘটনার দিন তোবারকের বাসার নিরাপত্তারক্ষী ফজরের নামাজ পড়তে বাইরে যান। তখন আসামি ইমন ওই বাসার কাছেই অবস্থান করা রাব্বী, বাবু, রিমন, সিহাব ও হৃদয়কে বাসায় আনেন। এরপর তাঁরা তোবারক ও তাঁর সহকারী সাইফুলকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। পরে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে তোবারককে হত্যা করা হয়। পরে আলমারি ভেঙে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে চলে যান আসামিরা।
আরও পড়ুন
‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে ব্যবসায়ী তোবারককে হত্যা করেন ছাঁটাই হওয়া কর্মচারীরা, জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি