নতুন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষায় ‘ভুল’ রিপোর্ট দেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন ঐশী খান। আজ সোমবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর তিনি এই অভিযোগ করেন।
ঐশী খান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে। তাঁর দাবি, অধিদপ্তর ভুল রিপোর্ট দেওয়ায় তাঁর (ঐশী খান) ও তাঁর বাবার সম্মানহানি হয়েছে, যা অমার্জনীয় অপরাধ। ঐশী অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় মানুষকে অযথা হয়রানি হতে না হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।
ঐশী খানের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিসিআর টেস্টে ফলস নেগেটিভ আসতে পারে। সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান আজ সকালে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিষয়টি আমরা ত্বরিতগতিতে খতিয়ে দেখছি। আমরা ব্যবস্থা নেব। এখানে লুকানোর কিছু নেই। যদি আমাদের ভুল হয়, সেটা আমরা বলব। আর মেশিনে ভুল হলে সেটাও জানাব। কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছায় যদি হয়ে থাকে, সেটারও সুষ্ঠু সমাধান হবে। তিনজন এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’
ঐশী খান গতকাল রোববার করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে লন্ডনগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে চড়ার আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সনদটি পরীক্ষা করে জানায়, ওয়েবসাইটে ঐশী খানের করোনা পরীক্ষার সনদে পজিটিভ লেখা আছে। ফলে ঐশী খান আর ফ্লাইটে চড়তে পারেননি।
আজ শাজাহান খান প্রথম আলোকে বলেছেন, অধিদপ্তর ভুল রিপোর্ট দেওয়ায় তাঁর মেয়ে লন্ডনে যেতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি অধিদপ্তরে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন।
ঐশী মহাপরিচালক বরাবর লেখা চিঠিতে বলেছেন, ২৪ জুলাই তিনি নির্ধারিত স্থানে গিয়ে নমুনা দেন। ২৫ জুলাই বিকেলে অনলাইনে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ বলে জানানো হয়। এরপর আইসোলেশন সেন্টার থেকে সনদের কপি সংগ্রহ করা হয়। সেখানেও নেগেটিভ লেখা আছে। কিন্তু গতকাল বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ।
ঐশী খান লিখেছেন, ‘একবার নেগেটিভ আসায় আমি সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মিশেছি। আমার বাবার সঙ্গে একই গাড়িতে করে বিমানবন্দরে গিয়েছি। কিন্তু পরে পজিটিভ আসায় বাবার স্বাস্থ্য ও পরিবারের সবার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত আছি। তা ছাড়া দুই ধরনের রিপোর্ট আসায় আমার বাবা সম্পর্কে গণমাধ্যমে নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর খবর এসেছে, যা আমার পিতার সম্মানহানি করেছে। এটা অমার্জনীয় অপরাধ।’