প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ সোমবার নতুন মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্য শপথ নিয়েছেন। বেলা সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হয়।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথ পড়ান। এর মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা।
শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাঁর বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী ও কয়েকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এরপর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মন্ত্রীদের শপথ পড়ান।
এই মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ ৩১। পুরোনোদের মধ্যে ৩৬ জন বাদ পড়েছেন।
বেলা সোয়া তিনটায় বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগেই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রায় সবাই বঙ্গভবনে চলে আসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
গতকাল রোববার বিকেলে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন ২৪ জন। তাঁরা হলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক), ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান—টেকনোক্র্যাট (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার—টেকনোক্র্যাট (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।
১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হলেন কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসীকল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনাইদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।
৩ উপমন্ত্রী হলেন হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।