তানভীর হত্যা

লাশ বহন করা ব্যাগের সন্ধানে শীতলক্ষ্যায় র্যাবের আবারও তল্লাশি

তানভীর হত্যা
তানভীর হত্যা

নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে হত্যার পর লাশ বহন করা ব্যাগের সন্ধানে শীতলক্ষ্যা নদীতে গতকাল শুক্রবার আবারও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব-১১-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম জানান, গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনীর খাল এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় তল্লাশি চালানো হয়।
র‌্যাব জানায়, একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ইউসুফ হোসেন ওরফে লিটন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে দেওয়া এক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, ত্বকীকে হত্যার পর তার লাশ একটি ব্যাগে ভরে নৌকায় করে শীতলক্ষ্যা নদীতে নেওয়া হয়। ব্যাগ থেকে লাশটি বের করে নদীতে ফেলা হয়। এরপর ওই ব্যাগটিতে ইট ভরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ত্বকী হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে গতকাল দ্বিতীয় দফা তল্লাশি চালিয়েও ব্যাগটির সন্ধান মেলেনি। এ জন্য আরও তল্লাশি চালানো হবে।
ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১১-এর সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, এর আগেও বৃহস্পতিবার শীতলক্ষ্যা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া পাঁচ-ছয় হাত লম্বা সাদা রঙের কাপড় ও একটি রেইনকোট-ধরনের শার্ট উদ্ধার করা হয়। এই দুটি জিনিস হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, খুব শিগগির ত্বকী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।’
নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির ছেলে ত্বকী গত ৬ মার্চ শহরের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। এর দুই দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রফিউর রাব্বি হত্যা মামলা করেন। পরে তিনি ত্বকী হত্যার ঘটনায় সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান ও তাঁর ছেলে অয়ন ওসমানসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ সুপারকে লিখিত অবগতিপত্র দেন। পুলিশ এ ঘটনায় রিফাত বিন ওসমান, সালেহ রহমান ওরফে সীমান্ত ও ইউসুফ হোসেন লিটনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে রফিউর রাব্বির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তভার গত ২০ জুন র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর হয়। এরপর ২৫ জুন ত্বকী হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া জাতীয় পার্টির নেতা হাজি রিপনের ছেলে সালেহ রহমান ওরফে সীমান্ত হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান। অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ওই জামিন পরে বাতিল করে দেন।