নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় লাল (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ) ও হলুদ (মাঝারি ঝুঁকিপূণ) এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, লাল ও হলুদ এলাকয় অবস্থিত সামরিক বা আধা সামরিক সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরগুলো এবং এই দুই ধরনের এলাকায় বসবাসকারী ওই সব দপ্তরের চাকরিজীবীরা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।ৱ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যখন যে এলাকাটি লাল বা হলুদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে, তখন থেকে ওই সব এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে।
আর সবুজ (নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকায় অফিসগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে চলবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ১২ দফা নির্দেশনা মানতে হবে।
এতে বলা হয়, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন অনুযায়ী এখতিয়ারভুক্ত কর্তৃপক্ষ (মূলত স্বাস্থ্য বিভাগ) লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা হিসেবে ভাগ করে জীবনযাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিটি এলাকার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করতে হবে।
এদিকে ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বর্তমান সময়ের মতো (৩১ থেকে ১৫ জুনের নিয়মকানুন) নিষেধাজ্ঞাগুলো থাকবে। এখনকার মতো ৩০ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান রেল ও বিমান চলাচল করতে পারবে। অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং ব্যবস্থাও চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেবে।
হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিংমল এখনকার মতোই বিকেল চারটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া অন্য বিষয়গুলোও এখনকার মতো নিয়ন্ত্রিতভাবে চলতে পারবে।