ভাষাসৈনিক, সাংবাদিক, কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জানাজা পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় স্থানীয় টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফুর রহমান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাসহ কয়েক শ মুসল্লি অংশ নেন। জানাজার আগে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান তাঁর ছেলে অনুপম চৌধুরী।
জানাজা শেষে নিকটবর্তী আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ রাখা হয়। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর কফিন জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে পুষ্পমাল্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শন করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। সেখানে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে প্রয়াত এই সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে বলা হয়, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সাপেক্ষে আগামী বুধবার অথবা শুক্রবার (২৭ মে) বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। গাফ্ফার চৌধুরী ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগসহ বার্ধক৵জনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।