করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ এবং মোকাবিলায় চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণ করে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে ‘আইসোলেশন সেন্টার’ করার ক্ষেত্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে লঞ্চমালিকদের সম্মতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ শনিবার ঢাকা সদরঘাটে নৌযানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লঞ্চমালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লঞ্চগুলোয় ‘আইসোলেশন সেন্টার’ করা হলে উপকূলীয় অঞ্চলে যেখানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা পৌঁছায়নি, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। এ বিষয়ে লঞ্চের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের কারণে লঞ্চগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে লঞ্চগুলোকে কীভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা যায়, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নৌযানশ্রমিকদের পাশে আছি। করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত সংকট থেকে উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত নৌযানশ্রমিকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করা হবে। লঞ্চমালিকদের বিষয়টিও সরকার নিশ্চয়ই দেখবে।’
পরে প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে ঘাটশ্রমিকদের মধ্যে ২০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহনসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, অভ্যন্তরীণ নৌযান (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ।