বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম বা তার কোনো কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও হেফাজত-সংশ্লিষ্ট মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নাম জড়িয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে। করোনার লকডাউনের সুযোগে সরকার যেন ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় আক্রমণে দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই দুর্যোগের কাছে অর্থ, অস্ত্র, ক্ষমতা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিদিন মৃত্যুপরোয়ানা নিয়ে মানুষের দুয়ারে হাজির হচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে করোনাকে যদি এখনই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, করোনার এই মহাদুর্যোগের মধ্যে বাগাড়ম্বর বক্তব্য ছাড়া সরকার জনকল্যাণে কোনো কাজ করছে না। তারা করোনা মোকাবিলায় সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার বিএনপি, তার সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর বেপরোয়া গতিতে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই সরকার এ কাজ করছে। লকডাউনের এই সুযোগে সরকার যেন ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে গিয়ে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সরকারের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে।
গত ২৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ১৭৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যাতে টুঁ শব্দ উচ্চারণ করতে না পারেন, সে জন্যই নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালানোকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে সরকার। দেশকে বিএনপি–শূন্য করাই যেন শাসকগোষ্ঠীর এখন প্রধান লক্ষ্য।
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।