র্যাবের গুলিতে পা হারানো সেই লিমন হোসেন আজ শুক্রবার বিয়ে করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিমনের গায়ে হলুদ হয়েছে।
লিমন আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার সাভারের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
লিমন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে উঠবেন তিনি।
লিমনের স্ত্রীর নাম রাবেয়া বসরী। যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওপাড়ায় তাঁর বাড়ি। সেখানেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে।
মুঠোফোনে রাবেয়া বসরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘লিমন যুদ্ধ করে নিজের নতুন জীবন গড়েছেন। দাম্পত্য জীবনেও তিনি দায়িত্বশীল হবেন, এটা বুঝেই আমি এ বিয়েতে রাজি হয়েছি।’
২০১১ সালের ২৩ মার্চ এইচএসসি পরীক্ষার্থী লিমন র্যাবের গুলিতে পা হারান। লিমনের পা হারানোর ঘটনা সে সময়ে ছিল আলোচিত একটি ঘটনা। লিমনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে।
পা হারানোর সেই দুর্বিষহ দিন পেরিয়ে ছেলের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যুদ্ধে গর্বিত লিমনের মা–বাবা। ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তাঁরা। বাবা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘পোলাডা তো মইররাই গ্যাছেলে, আল্লায় বাঁচাইয়া রাখছেন। আজ আমি আল্লার কাছে শুকরিয়া জানাই।’
লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে লিমনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল র্যাব। সমালোচনার মধ্যে সেই মামলা থেকে লিমনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অবশ্য র্যাবের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম ঝালকাঠি আদালতে একটি মামলা করেন। এটি চলমান রয়েছে।
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, ‘গত ১০ বছরে যত কষ্ট হরছি, সব কষ্ট শ্যশ হইয়া গেছে। আইজ পোলার বিয়া। কোনো দিন ভাবিনাই মোর পোলা লিমন কলেজের মাস্টার অইবে। বৌডার লইগ্যা সবাই দোয়া হইররেন। ওরা যেন সুখী অইতে পারে।’