রোহিঙ্গা-বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৮

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে। ছবি: প্রথম আলো
সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে  সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে। ছবি: প্রথম আলো

অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা–বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে ১৯ জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে টেকনাফ থানায় মামলাটি করা হয়।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

পুলিশ জানায়, সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা–বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় আজ সকালে সাগর থেকে আরও একজনসহ ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে টেকনাফ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের কোথায় রাখা হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন আদালত। পুলিশ আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে।

পুলিশ জানায়, মানব পাচারের জন্য মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি পরিচালনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নাগরিক রয়েছে।

গতকাল সকালে সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৩ জনকে জীবিত এবং ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ওই ট্রলারে প্রায় ১৩৮ জন যাত্রী ছিল। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করছে।