সাতক্ষীরায় এক মোটরসাইকেল চালককে রোহিঙ্গা ছেলেধরা মনে করে পিটিয়ে জখম করেছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার।
আহত মোটরসাইকেল চালকের নাম রিয়াজ উদ্দীন মোড়ল (৪০)। তাঁর বাড়ি দেবহাটা উপজেলার গোবরাখালী গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেল চালক রিয়াজ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে বাঁকাল কোল্ড স্টোর মোড় এলাকায় কয়েক যুবক তাঁর মোটরসাইকেল থামিয়ে ছেলেধরা রোহিঙ্গা মনে করে তাঁকে মারতে থাকেন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রিয়াজ উদ্দীন মোড়ল বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে প্রতিবেশী দুই মহিলাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। বাঁকাল এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই কয়েক যুবক আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতে যাওয়ার পথে রোহিঙ্গাদের একটি দল সাতক্ষীরায় আটকা পড়েছে এবং এসব নারী ও পুরুষ শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে পুরো এলাকায় খবর রটেছে। এসব ছেলেধরাদের হাত থেকে সাবধানে থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে সাতক্ষীরায়। এই ঘটনার জের ধরে মধ্যবয়সী মোটরসাইকেল চালক রিয়াজ উদ্দীন ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ছেলেধরার বিষয়টি নিছক গুজব। তিনি এ সময় গুজবে কান না দিয়ে আসল ঘটনা জানার আহ্বান জানান সবার প্রতি। তিনি বলেন, রিয়াজকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।