রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সরকারি কর্মকর্তারা পেলেন স্থায়ী অফিস

কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে ক্যাম্প-৪–এর বর্ধিত অংশে তৈরি অফিস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে ক্যাম্প-৪–এর বর্ধিত অংশে তৈরি অফিস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পেয়েছেন স্থায়ী অফিস। গত ১৬ মাস অস্থায়ী কার্যালয় থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন তাঁরা। এবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় ৩০টি অফিস কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।

গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে ক্যাম্প-৪–এর বর্ধিত অংশে তৈরি এই অফিসগুলোর উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্র্যাক ও ইউএনএইচসিআরকে অভিনন্দন জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মোহাম্মদ শাহ কামাল, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের প্রধান মো. আবুল কালাম, এনডিসি, কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআরের প্রধান মারিন ডিন কাজডমকাজ এবং ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির প্রধান মো. আবদুস সালাম।

প্রতিটি কমপ্লেক্সে রয়েছে ৬০ আসনের সভাকক্ষ, জেনারেটর এবং আলাদা গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত

ক্যাম্প-৪–এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীমুল হক পাভেল বলেন, ‘যখন আপনি রোহিঙ্গাদের জন্য বিশাল এই ক্যাম্পগুলোয় কাজ করবেন, তখন যোগাযোগের সুবিধার্থেই ক্যাম্পগুলোর কেন্দ্রে একটি কার্যালয় দরকার। এই কমপ্লেক্সগুলো সেই অভাব পূরণ করবে।’

২০১৮ সালের জুলাই মাসে সরকার ও ইউএনএইচসিআরের সার্বিক সহায়তায় উদ্যোগটি শুরু হয়। ছয় মাসের এই প্রকল্পে স্থপতি ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল নিযুক্ত করে ব্র্যাক।

ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির প্রধান মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘এত কম সময়ে দেড় লাখ স্কয়ার ফুট আবাসনের কাজ শেষ করা সত্যিই কঠিন এক চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে ভবনগুলো কম খরচে উন্নত সামগ্রী দিয়ে এমনভাবে তৈরি হয়েছে যেন ভূমিকম্প ও সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অক্ষত থাকে।’

প্রতিটি কমপ্লেক্সে রয়েছে ৬০ আসনের সভাকক্ষ, জেনারেটর ও আলাদা গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এ ছাড়া ক্যাম্প ইনচার্জদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।