সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশ। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার ১৫ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রধানমন্ত্রী এ দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাহলে এ দেশের আড়াই কোটি হিন্দু কেন তাদের পিতৃভূমিতে অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছে পরিষদ।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রাম নগরের জে এম সেন হলে চার দিনব্যাপী রাস মহোৎসব উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী বলেন, প্রতিবারই ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে সংখ্যালঘুদের মঠ, মন্দির, দেবালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। নিরীহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হত্যা করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার ১৫ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রধানমন্ত্রী এ দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাহলে এ দেশের আড়াই কোটি হিন্দু কেন তাদের পিতৃভূমিতে অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না?
সংবাদ সম্মেলন থেকে যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো জানানো হয়, তা হলো বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক বিষ উপড়ে ফেলতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হওয়া মঠ, মন্দির, আশ্রম দেবলায়গুলো রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনর্নির্মাণ করতে হবে; পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর মিথ্যা মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিন ঘোষণা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস মহোৎসব বৃহস্পতিবার থেকে চার দিনব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হবে। এ উপলক্ষে জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে চার দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সাধু ও বৈষ্ণবদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লীলা প্রদর্শনী, ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।