বৈশাখের সকাল। তবে গরম নেই। আকাশে মেঘ আছে। ঝিরঝির বাতাস। মাঝেমধ্যে মেঘ সরে গিয়ে রোদের দেখা মিলছে। এই রোদ-ছায়ার খেলার মধ্যে যশোর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে বসেছে ভাষা প্রতিযোগের আঞ্চলিক উৎসবের আসর। খুলনা বিভাগের প্রায় এক হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী এ আসরে যোগ দিয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সোয়া নয়টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল। পরে তিনি আকাশে উৎসবের ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে দেন। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল বলেন, ‘এমন চমৎকার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। ভাষার প্রতি ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য প্রথম আলো পত্রিকার এ ধরনের আয়োজন আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগায়। আমাদেরও প্রাণিত করে।’
পরীক্ষা শেষে শুরু হয়েছে মজার প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্বে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য মঞ্চে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহেল রাজীব, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আকতার হোসেন, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুদরত-ই-খুদা ও যশোর সরকারি মহিলা কলেজের যশোর বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোফাজ্জেল হোসেন।
প্রশ্নোত্তর শেষে দুপুর পৌনে একটায় শুরু হবে ‘বানান বীর’ পর্ব। সবশেষে ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
এইচএসবিসি ব্যাংকের সহযোগিতায় প্রথম আলো এ উৎসবের আয়োজক। বন্ধুসভার বন্ধুরা অনুষ্ঠান সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।