রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে যা বললেন রেলমন্ত্রী

প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধসহ যাত্রীসেবা প্রদান করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবাগুলোকে ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে আজ বুধবার রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের যৌথ আয়োজনে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

ঢাকার রেল ভবনে আয়োজিত সভায় রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রযুক্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কালোবাজারি রোধসহ যাত্রীদের সার্বিক সেবা দেওয়া সম্ভব। বর্তমানে রেলওয়ের বেশ কিছু সেবা অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত ব্যবস্থাটি বাস্তবায়িত হলে রেলের সব সেবা একটিমাত্র প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রদান করা যাবে। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রস্তাবিত ব্যবস্থাটি দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবেন এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

সভায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রেলওয়ের বর্তমান সেবাকে আরও জনবান্ধব ও সহজতর করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে একটি জনবান্ধব ইন্টিগ্রেটেড রেলওয়ে ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইল অ্যাপ তৈরি এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের সব সেবাকে একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে ও সহজে জনগণের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়েও মতবিনিময় করা হয়।

ইন্টিগ্রেটেড রেলওয়ে অ্যাপ বাস্তবায়িত হলে একজন সাধারণ নাগরিক তাঁর হাতে থাকা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ট্রেনে সিট বাছাই থেকে শুরু করে সিট বুকিং ও টিকিটের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি স্টেশন, ট্রেনের অবস্থান, গন্তব্যের দূরত্ব ও লোকাল ট্রান্সপোর্ট সেবার সঙ্গে সহজেই যুক্ত হতে পারবেন তিনি। যাত্রাকালে বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরীণ সেবা, যেমন: ট্রেনের ভেতর খাবারের ফরমাশ করা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে রেল পুলিশের সহযোগিতার জন্য অভিযোগ করা যাবে। এই ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেমে মোবাইল অ্যাপের পাশাপাশি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, কল সেন্টার ও এসএমএস মাধ্যমে সব সেবা পাওয়া যাবে। প্রস্তাবিত সিস্টেমটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। এসব বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করবে।

সভায় রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম ও এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।