নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব এলাকাকে লাল এলাকা (রেড জোন) হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে সেসব এলাকার মসজিদে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম ছাড়া অন্য মুসুল্লিকে নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় করতে বলেছে সরকার। এসব এলাকার মুসল্লিদের জু'মার জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে উল্লেখিত এলাকাগুলোতে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সংক্রমণ রোধে লাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্ব সাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লাল এলাকাগুলোর মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ অনধিক ৫ জন এবং জু'মার জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের কোনো মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এ ছাড়া এই সময়ে সারা দেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। অন্য ধর্মের অনুসারীরা এই সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কোনো কোন প্রতিষ্ঠানে এই সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।