হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে আসামি ধরার নামে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীর তাড়া খেয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার জলালসাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামছুল ইসলামে বলেন, তাঁরা খবর পান যে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আসামি অবস্থান করছেন। তাঁদের ধরতে গেলে গ্রামবাসী ভুল বুঝে তাড়া করেন।
রেজা কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ প্রতিদিন তাঁর দলীয় লোকজনকে নানা স্থান থেকে গ্রেপ্তার করছে। সন্ধ্যায়ও তাঁর গণসংযোগ থেকে ১২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। গণসংযোগ থেকে দূরে রাখতেই পুলিশ এ ধরনের অভিযান চালিয়ে হয়রানি করছে। এর আগে তাঁর বাড়িতে আসামি ধরার নামে তল্লাশি করে পুলিশ। এ অন্যায়ের প্রতিবাদে গ্রামবাসী তাঁদের তাড়া করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র বলেছে, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ বিকেল চারটার দিকে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অভিযানে যায়। তিনি তখন উপজেলার করগাঁও এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। পুলিশ তাঁর বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি শুরু করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জলালসাপ গ্রামের লোকজন। পুলিশের অভিযান রুখতে তাঁরা গ্রামের মাইকে ঘোষণা দেন। এ সময় মানুষজন লাঠিসোঁটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়ির দিকে এগিয়ে এলে পুলিশের দলটি দ্রুত পাশের গোপলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
জলালসাপ গ্রামের বাসিন্দা শাহ মোছাব্বির হোসেন বলেন, পুলিশ অহেতুক বাড়ির ভেতরে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে তল্লাশি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গ্রামবাসী তাঁদের তাড়া দেয়।
রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহাবুদ্দিন বলেন, পুলিশ অভিযানের সময় তাঁরা ওই বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ আসামি ধরার নাম করে বিভিন্ন ঘরে গিয়ে জিনিসপত্র তছনছ করতে থাকে।